বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি বাতিল করার পর বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, তিনি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। তবে আজ সন্ধ্যায় পাঠানো একটি লিখিত বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কান এই কোচ বিসিবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি তাঁকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এখানে হাথুরুসিংহের বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিবৃতি
২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করা এবং অনুমতি ছাড়া বেশি ছুটি নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আমার সততা ও পেশাদারত্ব নিয়ে যে অভিযোগ করেছে, সেটা তুলে ধরতেই আমি এ চিঠি লিখছি। এই অসংগতিপূর্ণ বক্তব্যের জবাব না দিয়ে আমি পারি না। আমি বিশ্বাস করি, এর ব্যাখ্যা দেওয়াটা জরুরি। এই অভিযোগগুলো ঘিরে আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে ঘটনাগুলো স্পষ্ট করা এবং আমার বক্তব্য উপস্থাপন করা অপরিহার্য।
প্রথমত, কথিত যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে, সেটা যেখানে ঘটেছে, সেই ডাগআউট বা ড্রেসিংরুম বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে সব সময় নজরদারিতে থাকে। ৪০ থেকে ৫০টি ক্যামেরা ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত ধারণ করে। আর যদি সেখানে কিছু ঘটেই থাকে, আমি অভিযোগকারী বা কোনো সাক্ষীর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলারও সুযোগ পাইনি।
এ ছাড়া ঘটনাটা যদি এতটাই গুরুতর হয়ে থাকে, তাহলে সেই খেলোয়াড়টির ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে দলের ম্যানেজার বা কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ না করাটা বিস্ময়কর। যদি অভিযোগ করা হয়ে থাকে, তাহলে আমাকে তখন কেন প্রশ্ন করা হয়নি অথবা তখন আমার বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়নি। এটাই প্রশ্নের উদ্রেক করে যে এত মাস পর কেন কোনো ব্যক্তি ইউটিউবে এটা নিয়ে সরব হবে।